Wednesday, 31 January 2024

Jashne Meraj-un-Nabi & Urs Mubarak Sufi Media - Sufism

Jashne Meraj-un-Nabi (saw) & Urs Mubarak Hazrat Abu Bakr Chishti Musaaladare Khaas At Dargah Hazrat Nizamuddin Auliya New Delhi, India.


#Urs #UrsMubarak #UrsSharif #Sufi #SufiLive #SufiWorld #SufiFestival #SufiCentre #SufiOrder #SufiMedia
#GlobalSufiServices #GlobalSufiMedia
#Tasawwuf #Sufism #التصوف #Islam

Khwaja Gharib Nawaz (RA) - Sufi Media - Sufism

KHWAJA BABA (RA)'s URS Observed at Chattogram, Bangladesh.


A Sufi Mehfil organized to observe the URS MUBARAK of Gharib Nawaz Khwaja Moinuddin Chishti (KHWAJA BABA) Ajmeree Sanjari Rahmatullahi Alaihi at Chattogram in Bangladesh.



Sufi Spiritual Foundation organized the program, presided by
Khaja Osman Faruquee Chisty,
is the Meditation Instructor and Founder of Sufi Centre & Sufi Spiritual Foundation.

Dated: January 19, 2024





#Urs #UrsMubarak #UrsSharif #Sufi #SufiLive #SufiWorld #SufiFestival #SufiCentre #SufiOrder #SufiMedia
#GlobalSufiServices
#GlobalSufiMedia #Tasawwuf #Sufism #التصوف #Islam

©️ Shah Medu

Maizbhandar URS Mubarak - Sufi Media - Sufism

মাইজভান্ডার ওরছ মোবারক 


আজ মাইজভান্ডার গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সুলতানুছ্ ছালেকীন হযরত শাহ্ সুফি মাওলানা ছৈয়দ নূরুল হুদা (ক.) আল হাছানী ওয়াল হোছাইনী মাইজভান্ডারী এর পবিত্র বার্ষিক ওরছ মোবারক।




#Maizbhandar #MaizbhandarSharif
#Urs #UrsMubarak #UrsSharif #Sufi #SufiLive #SufiWorld #SufiFestival #SufiCentre #SufiOrder #SufiMedia
#GlobalSufiServices #Tasawwuf #Sufism #التصوف #Islam

©️ সুফি ভিশন ফেসবুক পেইজ

Tuesday, 30 January 2024

হাফেজ আউলিয়া হাফেজনগরী (রহ.)এর ৯১তম বার্ষিক ওরছ শরীফ Urs Mubarak - Sufi Media - Sufism

ﺑِﺴْـــﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْـــﻢ
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه ُ
হাফেজ আউলিয়া হাফেজনগরী (রহ.)এর ৯১তম
বার্ষিক ওরছ শরীফ



আগামী ১৮ই মাঘ ১লা ফেব্রুয়ারী-২০২৪ইং বৃহস্পতিবার বাহারুল উলুম হাফেজ আউলিয়া হযরত হাফেজ ক্বারী ছুফী ছায়্যীদ ফজলুর রহমান হাফেজ নগরী (রহ:)এর ৯১ তম পবিত্র উরছ মোবারক দরবারে পাকে অনুস্টিত হইবে। এ উপলক্ষে বায়তুল আনোয়ার,বাব-ই-ফরীদ দিইওয়ানিয়ায়ে হাফিজে আত্ তানযীমূল মুহিব্বান ফদ্বল-আর-রহমান ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।আমীরে তানযীম হযরতুলহাজ্ব ছুফী ছায়্যীদ ফরীদুল আনোয়ার হাফেজ নগরী (দামাত বারাকাতুহূম আলীয়া)এই মহিমান্বিত উরছ শরীফে সকল মুহিব্বান,ভক্ত,জাকেরীনগণের প্রতি ইশকানা ঈমানী -রুহানী দাওয়াত পেশ করেছেন।
সার্বিক যোগাযোগ: 01887637590



Monday, 29 January 2024

Manifest Quran Conference - Sufi Media - Sufism

The Manifest Quran Conference
Harrogate Convention Centre, Leeds, UK🇬🇧


The Manifest Quran takes into account the preceding and subsequent verses of each verse or phrase, while also considering vital geo-historical details of the revelation of verses. Seize this once-in-a-lifetime opportunity to witness the Launch of the Manifest Quran translated by his eminence Shaykh-ul-Islam Dr. Muhammad Tahir-ul-Qadri (Hafida'ullah). The Manifest Quran is a unique, easy-to-understand translation of the Holy Quran. Be part of history at the Manifest Quran Launch in the presence of his eminence Shaykh-ul-Islam Dr. Muhammad Tahir ul Qadri and world-renowned Quran reciters. Book your tickets today at ManifestQuran.com 📚✨
Visit www.ManifestQuran.com to book the Event tickets.

URS MUBARAK - SUFI MEDIA - SUFISM




নরসিংদী পীরপুর মাজার শরীফের তিন দিনব্যাপী ওরস শুরুর তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এই মহাপবিত্র ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হবে আগামী মাসের ১১,১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং ২৮,২৯ ও ৩০ মাঘ ১৪৩০ বাংলা রোজ রবি সোম ও মঙ্গলবার। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রাধানগর পীরপুর গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাপবিত্র ওরস মোবারক শুরু হবে।

ওরস শরীফের দিন ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষকে দরবারে ভিড় জমাতে থাকে ওরস শরীফ প্রাঙ্গণে। প্রতিবছর স্থানীয় ভক্ত ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ আসেন এই দরবারে।

মানত পরিশোধ, রোগমুক্তি, মনবাসনা পূরণ, আধ্যাত্মিক কামিয়াব লাভসহ নানা কারণে আসেন তারা। নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ সব শ্রেণীর লোকের সমাগম ঘটে এখানে।

তিন দিনের এই ওরসে প্রতি ওয়াক্তই কয়েক হাজার মানুষকে বিনামূল্যে খাওয়ানো হয়। পীরের দরবারে বসে খান ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। ওরস উপলক্ষে দরবারের সামনে তিনদিনের মেলাও বসে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রাধানগর পীরপুর গ্রামে ইসলাম প্রচারকারী মহান ওলি সুলতানুল আউলিয়া চেরাগি পীর হজরত সৈয়দ মাওলা বাবা ফতেহ আলী শাহ্ কেবলা কাবা একজন ধর্মীয় সাধক ছিলেন।


বর্তমান দরবার শরীফের ভক্ত আশেকান দৈনিক চলনবিলের কথাকে জানান, তিন দিনব্যাপী ওরস শরীফে ধর্মীয় আলোচনাসহ নানা আয়োজন করবেন। যেহেতু দূর-দূরান্ত থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা আসে সেজন্য আমরা বিনামূল্যে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। যে যার মতো উঠোনে, মাঠে, দরবার শরীফে ও মসজিদের বারান্দায় ঘুমায় কোন সমস্যা হয় না। মহিলাদের ঘুমানোর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হয়। এত মানুষের সমাগম হওয়ার পরেও কোনো বিশৃঙ্খলা নেই এ দরবারে। এটা শুধু আল্লাহর রহমত থাকলেই সম্ভব।

©️ #SufiMedia #Sufism

URS MUBARAK - SUFI MEDIA - SUFISM





Friday, 26 January 2024

শীতবস্ত্র সম্প্রদান ও পুরষ্কার বিতরনী সভা ২০২৪ - Sufi Media - Sufism

আগামীকাল ২৭ জানুয়ারী'২৪ ইং শনিবার, সকাল ১০ টা থেকে সুলতানুল আরেফীন ক্যাডেট মাদ্রাসায় শীতবস্তু সম্প্রদান ও পুরষ্কার বিতরণী সভা'২৪ ইং অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।


স্থান: সুলতানুল আরেফীন ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গন, ডাঙ্গারচর, কর্ণফুলী চট্টগ্রাম।
প্রধান অতিথি:
জনাব আলহাজ্ব ফারুক চৌধুরী মাননীয় চেয়ারম্যান, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ। সভাপতি কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ।
উদ্বোধক : হাজী নুরুল হক - সম্মানিত চেয়ারম্যান, ১নং (ক) জুলধা ইউনিয়ন পরিষদ।
বিশেষ অতিথি: জনাব আলহাজ্ব আমির আহমদ সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ।
বিশেষ অতিথি: জনাব ডাক্তার ফারহানা মমতাজ - সম্মানিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ।
সভাপতি:
আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক, অত্র মাদ্রাসা।
অতিথিবৃন্দ: শিপ্রা দে- সম্মানিত মহিলা ইউপি সদস্য, ডাঙ্গারচর, ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড
সম্মানিত জনাব মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ইউপি সদস্য, ডাঙ্গারচর, ৩ নং ওয়ার্ড
জনাব শরীফ মিয়াজী ইউপি সদস্য, ডাঙ্গারচর, ২ নং ওয়ার্ড জনাব সাইফুল ইসলাম বদি ইউপি সদস্য,
ডাঙ্গারচর, ১ নং ওয়ার্ড
আয়োজনে: সুলতানুল আরেফীন ক্যাডেট মাদ্রাসা।।

©️ #SufiMedia #Sufism 

Thursday, 25 January 2024

URS MUBARAK - Sufi Media - Sufism

খলিফায়ে গাউছুল আযম, হযরত মনা ভান্ডারী কেবলা (ক.)’ এর পবিত্র বার্ষিক ওরশ মোবারক


ঐতিহাসিক মনা ভান্ডার দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হবে।

©️ #SufiMedia #Sufism 

13 Rajab Mubarak - Imam Ali (as) - Sufi Media

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

আজ ১৩ রজব ১৪৪৫ হিজরি। 
 খলিফাতুল মুসলিমীন আমিরুল মু’মিনিন আসাদুল্লাহিল গালীব হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কাররামাল্লাহু ওয়াজ হাহু’র শুভ খোশরোজ শরীফ।


এ উপলক্ষে হযরত আবুল ফিদা হাফিজ ইবন কাসীর আদ-দামেশকী (রহ.) কৃত ‘আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ হতে উপস্থাপন করছি-
🖊️ খলিফাতুল মুসলিমীন আমিরুল মু’মিনিন আসাদুল্লাহিল গালীব হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কাররামাল্লাহু ওয়াজ হাহু’র উত্তম বাণী:
আলী ইবন জাকির ওয়াররাক আমীরুল মু'মিনীন হযরত আলী (রা) সম্পর্কে নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন:
“তুমি যখন কাপড় পরিধান করবে তখন ভাল কাপড় পরিধান করবে। কারণ জামা কাপড় হল পুরুষের অলংকার ও ভূষণ। জামা কাপড়ের কারণে তুমি সম্মানিত ও মর্যাদাবান হবে।''
"জামা কাপড় পরিধানে বিনয় বর্জন কর। কারণ তোমার ভেতরের খবর আল্লাহ্ তা'আলার জানা আছে।”
“তোমার জামার দৈন্য ও জীর্ণতা তোমাকে আল্লাহর নৈকট্য এনে দিবে না যদি তুমি মূলত দোষী ও অপরাধী হয়ে থাক।”


"তুমি যদি মহান আল্লাহকে ভয় কর এবং তিনি যা হারাম ও নিষিদ্ধ করেছেন, তা বর্জন কর তবে দামী ও মূল্যবান জামা-কাপড় পরিধানে তোমার কোন ক্ষতি হবে না।'
অবশ্য হাদীস শরীফেও এ মর্মে বর্ণনা রয়েছে। রাসূল (সা) বলেছেন-
মহান আল্লাহ তোমাদের চেহারা ও মুখমণ্ডলের দিকে দেখেন না, তোমাদের জামা কাপড়ের দিকেও নয়। তিনি বরং দেখেন তোমাদের অন্তর ও তোমাদের কর্ম।'


সাওরী (রা) বলেছেন, দুনিয়াতে জুব্বা পরিধান ও আহারে কৃচ্ছ্রসাধন পরহেযগারী নয়। বরং পরহেযগারী দুনিয়াতে আশা-আকাঙ্ক্ষা সীমিত রাখা।
আবু আব্বাস মুহাম্মদ ইয়াযীদ ইবন আব্দুল আকবার মুবরাদ বলেছেন, হযরত আলী (রা)-এর তরবারিতে নিম্নের কবিতাটি লেখা ছিল:
‘দুনিয়ার প্রতি মানুষের রয়েছে লোভ-লালসা ও দুর্বার আকর্ষণ। লোভনীয় ও কামনার বস্তু অর্জনে তার রয়েছে চাতুর্যপূর্ণ কৌশল ও বুদ্ধিভিত্তিক প্রস্তুতি।
‘তারা যদি আপন প্রতিপালক মহান আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যের দিকে আসে তবে এই আনুগত্যের তত্ত্ব ও হাকীকত অনুধাবনে তাদের বুদ্ধি ও বিবেক অক্ষম হয়ে পড়ে।
‘এ জন্যে এবং ঐ লোভ-লালসার জন্যে তাদের জীবনের স্বচ্ছতা ও উজ্জ্বলতা দুঃখ এবং অন্ধকারে পরিণত হয়।
“তারা জ্ঞান-বুদ্ধি ও চাতুর্যের ফলশ্রুতিতে দুনিয়ার সুখ-সমৃদ্ধি অর্জন করে তা কিন্তু নয়। কারণ ওগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে বণ্টন ও নির্ধারণ করে দেয়া হয়। বস্তুত ওই তাকদীর বণ্টনের প্রেক্ষিতেই তারা সুখ-সমৃদ্ধি অর্জন করে।
‘বহু বিদগ্ধ প্রজ্ঞাবান রয়েছেন পার্থিব উন্নতি যাদের ভাগ্য জোটে না। পক্ষান্তরে বহু মূর্খ ও নির্বোধ ব্যক্তি রয়েছে যাদের নির্বুদ্ধিতা ও অজ্ঞতা সত্ত্বেও পার্থিব সাফল্য তাদের অনুকূলে থাকে।
‘পার্থিব সুখ-সমৃদ্ধি এবং যশ-খ্যাতি যদি শক্তি ও দাপটের ফলশ্রুতিতে হত তাহলে চড়ুইগুলো না খেয়ে মারা যেত।'
আসমাঈ সালামা ইবন বিলাল মুজাহিদ সূত্রে শা’বি (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত আলী (রা) এক ব্যক্তিকে উপদেশ সূত্রে বলেছিলেন, বস্তুত ওই লোকটি অন্য এক লোকের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলুক তা তিনি পছন্দ করতেন না। হযরত আলী (রা) বলেছেন,
তুমি কখনো মুর্খ ও অশিক্ষিত লোকের সাথে বন্ধুত্ব করে না। মূর্খ লোকের সংস্পর্শ থেকে তুমি নিজেকে সরিয়ে রাখবে। কারণ এমন বহু ঘটনা ঘটেছে যে, সখ্যতা স্থাপনের পর মূর্খ লোকটি তার জ্ঞানী বন্ধুকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
‘দু'জন মানুষ যখন এক সাথে চলে তখন একজনকে অন্যজনের পর্যায়ভূক্ত বলে গণ্য করা হয়। আর একটি বস্তুকে অন্য বস্তুর সাথে তুলনা ও সাদৃশ্যের ধারণা করা হয়।'
‘পরস্পর সাক্ষাত ও পরিচিত হবার পর এক অন্তরের উপর অন্য অন্তরের প্রভাৰ ও প্রতিক্রিয়া কার্যকর হয়।’
আমর ইব্ন ‘আলা তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আলী (রা) তাঁর সহধর্মিনী হযরত ফাতিমা যাহরা (রা)-এর কবরে দাঁড়িয়ে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন:
‘আমি আবু আরওয়াকে স্মরণ করেছিলাম। ফলে আমার রাত কেটেছে এভাবে যে, আমি আমার অতীত দুঃখ-বেদনাকে প্রতিহত করতে চেয়েছি।
‘দু'জন বন্ধুর মিলনের পর বিচ্ছেদ আসবেই। আর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত যত কিছুই ঘটুক মূলত তা খুবই কম।
‘আমি যে একের পর এক বন্ধু ও সাথীকে হারাচ্ছি তাতে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, কোন বন্ধুই চিরস্থায়ী নয়।
‘এমন হতেই থাকবে যে, আমার বন্ধু আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়ে যাবে আর আমার বন্ধুত্বের কথা ভুলে যাবে। আমার পর আমার বন্ধুর জন্যে নতুন বন্ধু জুটে যাবে।'
‘আমার জীবনের কিছু অংশ অতিবাহিত হবার পরই বন্ধুত্বের সমাপ্তি ঘটবে। কারণ পেশাদার ক্রন্দনকারিনী মহিলাদের বিলাপ ও শোকগীতি ক্ষণস্থায়ী। কেউ কেউ হযরত আলী (রা) সম্পর্কে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেনঃ
‘মৃত্যু যার অনিবার্য তার তো বিনয়ীই হওয়া উচিত। আর দুনিয়ার সম্পদের মধ্যে সামান্য খাবারই একজন মানুষের জন্য যথেষ্ট।
‘মানুষ দুখ ভারাক্রান্ত এবং লোভী হবে কেন? মানুষ প্রশংসিত হবে না কেন?
'আমাদের মালিক মহামহিম আল্লাহর সকল কর্মই চমৎকার, সুন্দর ও প্রশংসাযোগ্য। তাঁর নির্ধারিত রিযিক ও জীবিকা তো আমাদেরকে বঞ্চিত করবে না।'
‘ওহে বন্ধু! এই দুনিয়ার সমান্য কিছু ভোগ করার পরই তোমাকে চলে যেতে হবে। তোমার পৌঁছতে হবে এমন এক সম্প্রদায়ের নিকট, চুপ থাকাই যাদের কথা বলা। (অর্থাৎ কবরের অধিবাসীগণ)।
আমরা যদি এই বিষয়ে আরো লিখতে যাই তবে তা হয়ে পড়বে সুদীর্ঘ। অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তির জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট। সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা মহান আল্লাহর।
হাম্মাদ ইবন সালামা বলেছেন যে, আইয়ুব সাখতিয়ানী বলেছেন, 'যে ব্যক্তি হযরত আবু বকর (রা)-কে ভালবেসেছে সে দীন প্রতিষ্ঠা করেছে। যে উমর (রা)-কে ভালবেসেছে সে তার চলার পথ উজ্জ্বল করেছে। যে ব্যক্তি উসমান (রা)-কে ভালবেসেছে সে নিজেকে আল্লাহ’র জ্যোতিতে জ্যোতির্ময় করে তুলেছে। আর যে ব্যক্তি হযরত আলী (রা)-কে ভালবেসেছে সে মজবুত ও সুদৃঢ় রজ্জু ধারণ করেছে। যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সাহাবীদের সুনাম ও প্রশংসা করেছে, সে মুনাফিকী থেকে নিজেকে মুক্ত করেছে।

©️ #SufiMedia #Sufism

Prophet Mohammed (S.A.W) - Sufi Media

This is the tomb of the great Companion, Sayyiduna Abu Ubaydah ibn Jarrah. He accepted Islam a day after Sayyiduna Abu Bakr and was the Ten Companions who were guaranteed Paradise by Rasūlallāh ﷺ in the famous hadith. 


The Prophet ﷺ spoke about him and said, "Every nation has a trustworthy one and the trustworthy of my nation is Abu Ubaydah." In Uhud, he was from those who protected the Beloved ﷺ. When the Prophet was struck and metal became stuck in his cheek, Sayyiduna Abu Ubaydah took them out with his teeth intending to make it as pain-free as possible for the Prophet ﷺ and broke his own teeth.

He remained loyal to Rasūlallāh ﷺ from the beginning of the persecution in Makkah to the very end. He experienced starvation, stones to the stomach, and sleepless nights but his Iman only increased. Do you know what happened in Badr? His own father stood against and made attempt after attempt to kill him. Imagine being at war and your father is the one who wants to kill you! Can there be a harder tribulation? Sayyiduna Abu Ubaydah eventually had no choice but to defend the religion and himself so he killed his father. We claim to love the Prophet ﷺ but when he instructs us to pray, to give zakat, to fast, and to fulfill our obligations, we can't do it. We claim to live in difficulty so we abandon rulings and find invalid opinions to make our deen easier as though we are doing this religion a favour. These Sahaba were guaranteed Jannah but they never lowered their standards or felt comfortable enough to just do nothing and relax.

We claim we would've loved to be in the Prophet's ﷺ time but as Sayyiduna Abu Ayyub said to his students. Why do you want to be in a time when we went to war against our own brothers? When we knew that our families who rejected were going to Hell? Why do you ask to be in a time where we knew that if we disobeyed - we'd be destroyed. When you fall short, times get hard, and you become lazy — remember the sacrifices of these Companions who were expelled from their homes, went to war, faced injury, tasted starvation, and went through every hardship for La ilaha ila Allah Muhammad Rasool'Allah ﷺ. We need to move away from being claimants of love because we may celebrate the mawlid, decorate our homes, or participate in a few gatherings a year. None of us can ever imagine what the Sahaba went through. May Allah continue to honour them and raise them.

Prophet Mohammed (S.A.W) - Sufism

In the south of Arabia, there is a place called Najran. There lived the Christian tribe of Najran who staunchly believed that Jesus was the son of God. The Prophet invited them to accept Islam. In response to that, a delegation of their priests and elders came to Madina. They wanted to discuss religion with the Holy Prophet Mohammed (S.A.W)


Their argument was that Jesus was born without a father, so he was the son of God. The Holy Prophet explained to them that just as Allah created Prophet Adam without a father or even a mother, in the same way He created Jesus without a father. Hence Jesus was a servant of Allah as was Prophet Adam. The Christians did not agree with this simple truth. They stuck to their belief that Jesus was the son of God. The Prophet asked them to wait. Then came the following Revelation:
“O Messenger! If they dispute with you in this matter after the knowledge has come to you, then, say, 'Come, let us call our sons and your sons, and our women and your women, and our souls and your souls. Then let us earnestly invoke and lay the malison (curse) of Allah on those who lie”. (Quran: 3:60)
It was then agreed that the Christians seek MUBAHALA with the Prophet. The meaning of MUBAHALA is that both of them invoke from Allah that he, who speaks the truth may survive and he, who is untrue may perish.
On the day of Mubahala, the Prophet of Islam took with him his grandsons - Imam Hasan (a) and Imam Husain (a), his daughter Fatima Zehra (a) and his cousin and son-in-law Imam Ali (a). But on seeing the radiant faces of these sinless members of the household of the Prophet, the Christians got scared. They decided not to seek Mubahala anymore but accepted their defeat. They agreed to pay tribute and returned home.
#muslims #shia #imamreza #Allah #jesus #christians #mubahalah #imamhussain #Sufiam

Wednesday, 24 January 2024

Naqshbandi Sufism - Sufi Media

بِسمِ اللّٰہِ الرَّحمٰنِ الرَّحِیم



*"Wisdom is found only with Divinely people; Knowledge is found with everyone. Wisdom is given to Allah's chosen ones. It needs a pure Heart, as it is a Precious thing and cannot be put in a Dirty cup."*

~Sultanul Awliya Mawlana Shaykh Nazim (Q.S.A.)

Tuesday, 23 January 2024

118th URS MUBARAK - MAIZBHANDAR SHARIF


118th Urs Festival of The great founder of Maizbhandar Silsila, Gausul Azam Hazrat Maulana ShahSufi SYED AHMED ULLAH SHAH Maizbhandari (Q.S.A.) will be held at. MAIZBHANDAR DARBAR SHARIF, Fatikchari, Chattogram, Bangladesh. on 10 Magh 1430, 24 January 2024. You Are Warmly Invited!



#10Magh 1430
#24January 2024
#URS #HolyUrsMubarak
#UrsSharif #UrsMubarak
#Maizbhandar #Maizbhander
#MaizbhandarSharif






#Chittagong #Bangladesh

#SufiMedia #SufiCentre #SufiOrder #SufiWorld #SufiLive #GlobalSufiServices
 #GlobalSufiMedia #Tasawwuf #Sufism #Islam

আজ মহান ১০ মাঘ ১৪৩০ বাংলা, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ইংরেজি।

আজ উপমহাদেশের প্রখ্যাত পীরে কামেল, মাইজভান্ডারী ত্বরিকার মহান প্রবর্তক, হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ শাহ মাইজভান্ডারী (ক.) প্রকাশ হযরত কেবলায়ে কাবা’র ১১৮তম পবিত্র বার্ষিক ওরছ শরীফ।

হযরত কেবলা কাবা ১৮২৬ সালে ১৪ জানুয়ারী (১ম মাঘ, ১২৩৩ বাংলা সন) চট্টগ্রাম শহর হতে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে তৎকালীন প্রত্যন্ত মাইজভান্ডার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার নাম সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভান্ডারী ও মাতার নাম সৈয়দা খায়রুন্নেছা। তার পারিবারিক নাম ছিল সৈয়দ আহমদ উল্লাহ। তিনি ২৩ জানুয়ারী ১৯০৬ সালে ওফাত লাভ করেন। তাঁর পুর্ব পুরুষ সৈয়দ হামিদ উদ্দিন, গৌড়নগরে ইমাম এবং কাজীর পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি গৌড় নগরে মহামারীর কারণে ১৫৭৫ সনে চট্রগ্রামের পটিয়া থানার কাঞ্চন নগরে বসতি স্হাপন করেন; সেখানে তার নামানুসারে হামিদ গাঁও নামে একটি গ্রাম আছে। তার এক পু্ত্র সৈয়দ আব্দুল কাদের ফটিকছড়ি থানার আজিমনগর গ্রা্মে ইমামতি উপলক্ষে এসে বসতি স্হাপন করেন। তার পুত্র সৈয়দ আতাউল্লাহ তৎ পুত্র সৈয়দ তৈয়বুল্লাহর মেজ় পুত্র সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভাণ্ডার গ্রামে এসে বসতি স্হাপন করেন।

হযরত কেবলায়ে আলম নিজ গ্রামের মক্তবের পড়ালেখা শেষ করার পর ১২৬০ হিজরীতে উচ্চ শিক্ষার্জনের উদ্দেশ্যে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তিনি ১২৬৮ হিজরীতে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে পরীক্ষায় পাশ করেন। সেখানেই তিনি তৎকালীন সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা সমাপন করে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত অতিথি বা বক্তা হিসাবে যথেষ্ট সুনামের সাথে ধর্মীয় প্রচার-প্রচারণার কাজে লিপ্ত ছিলেন। তিনি শিক্ষা জীবন শেষে করে হিজরী ১২৬৯ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতের যশোর অঞ্চলেরবিচার বিভাগীয় কাজী পদে যোগদান করেন এবং একই সঙ্গে মুন্সেফী অধ্যায়ন শুরু করেন। পরবর্তিতে ১২৭০ হিজরীতে কাজী পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি কলিকাতায় মুন্সী বু আলী মাদ্রাসায় প্রধান মোদাররেছ হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তি সময়ে মুন্সেফী পরীক্ষায় ও তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে ছিলেন। তিনি হাদিস, তাফসির, ফিকহ, মন্তেক, হিকমত, বালাগত, উছুল, আকায়েদ, ফিলছফা, ফারায়েজ সহ যাবতীয় বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন। আরবী, উর্দু, বাংলা ও ফারসি ভাষায় তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। তৎকালীন সময়ে ওয়ায়েজ এবং বক্তা হিসাবে তার নামডাক বিশেষ ভাবে ছডিয়ে পড়ে। অল্প কিছু দিন পরই তিনি আধ্যাত্মিক জীবন যাপনে আত্ম নিয়োগ করেন। তখন হতে তিনি বাকি জীবন একজন সুফি সাধক হিসাবে অতিবাহিত করেন।

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (কঃ)-এর বংশধর ও উক্ত তরিকার খেলাফত প্রাপ্ত সৈয়দ আবু শাহামা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রঃ) নিকট বায়েত গ্রহনের মাধ্যমে বেলায়ত অর্জন করেন এবং সৈয়দ দেলওয়ার আলী পাকবাজ (রঃ) এর নিকট হতে এত্তাহাদী কুতুবিয়তের ক্ষমতা অর্জন করেন। তিনি দিনে দ্বীনি শিক্ষাদান ও রাতে এবাদত ও রেয়াজতের মাধ্যমে সময় কাটাতেন। এভাবে কঠোর সাধনার ফলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ বেলায়ত অর্জন করেছিলেন। তিনি জীবদ্দশায় তাঁর সুফি তরীকার দীক্ষা সমাজে মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে বহু সুফি প্রতিনিধি বা খলিফা নিয়োগ করেন বলে উল্লেখ রয়েছে। তন্মধ্যে ২০৪ খলিফার নাম ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। 

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১২৭৬ হিজরীতে ৩২ বছর বয়সে আজিম নগর নিবাসী মুন্সী সৈয়দ আফাজ উদ্দিন আহমদের কন্যা সৈয়দা আলফুন্নেছা বিবির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্ত বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তাঁর স্ত্রী মারা যান। সেই বছরই তিনি পুনরায় সৈয়দা লুৎফুন্নেছা বিবিকে বিয়ে করেন। ১২৭৮ হিজরী সালে তাঁর প্রথম মেয়ে সৈয়দা বদিউন্নেছা বিবি জন্মগ্রহন করেন। কিন্তু মেয়েটি চার বছর বয়সে মারা যায়। এরপর তাঁর আরোও একটি ছেলে জন্মগ্রহন করে অল্প দিনের মধ্যে মারা যান। অতঃপর ১২৮২ হিজরীতে দ্বিতীয় পুত্র সৈয়দ ফয়জুল হক (রঃ) এবং ১২৮৯ হিজরী সালে দ্বিতীয় কন্যা সৈয়দা আনোয়ারুন্নেছা জন্মগ্রহন করেন। তাঁর দ্বিতীয় পুত্রও পিতার পুর্বে ইন্তেকাল করেন।

হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) তাঁর পীরে ত্বরিকতের নির্দেশে ১৮৫৭ সালে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডারে ফিরে আসেন। আধ্যাত্মিক সাধক ও দোয়া প্রত্যাশীদের ভীড়ে এই সাধকের পবিত্র বাসগৃহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণধারক এক উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্মিক দরবারে পরিণত হয়। লোকসমাজে পরিচিতি পায়‘মাইজভান্ডার দরবার শরীফ’ হিসেবে। হযরত কেবলার (কঃ) অসংখ্যা কারামতের ঘটনা বিভিন্ন গ্রন্থে ও লোকমুখে প্রচারিত। যেমনঃ (১) হযরতে আধ্যাত্মিক প্রভাবে মোহছেনিয়া মাদ্‌রাসা প্রতিষ্ঠা ও মোদার্‌রেছ নিযুক্তি। (২) হযরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে এক রাতে মক্কা শরীফ হতে চট্টগ্রাম শহরে হাজীর প্রত্যাগমন। (৩) হযরতের বেলায়তী ক্ষমতায় বাহুতে হাত রেখে জনৈক হাজীর অলৌকিক ভাবে বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন (৪) হযরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে বাঘের মুখে লোটা নিক্ষেপে ভক্ত উদ্ধার (৫) হযরতের বেলায়তী প্রভাবে মৃত্যূকালে আজরাইল ফেরত ও ষাট বৎসর আয়ু বৃদ্ধি। (৬) হযরতের আদেশে রেয়াজ উদ্দিন উকিলের ভূ-সম্পত্তি খরিদ ও রেয়াজ উদ্দিন বাজারের পত্তন। (৭) হযরতের আশ্চর্য্য কেরামতে বগলের নীচে কাবা শরীফে মুছল্লির প্রবেশ করতে দেখা -ইত্যাদি। এই ধরনের উচ্চমার্গীয় কেরামত গাউছে আজমিয়তের পরিচয় বহন করে। হযরত মুহিউদ্দীন ইবনুল আরাবীর ভবিষ্যৎবাণীঃ বিশিষ্ট ছুফী তাত্ত্বিক গবেষক ও বুযুর্গ হযরত মহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী তাঁর ‘ফছুছুল হেকম’ গ্রন্থের ‘ফচ্ছে শীচি’ অধ্যায়ে হযরত গাউছুল আজম মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এঁর আগমণ ও তাঁর গাউছুল আজম হওয়ার ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন।
বিশ্ব মানবতায় বেলায়তের স্বরূপঃ হযরত আকদাছ (কঃ)’র বেলায়তের পরশ পেয়ে ধন্য হয়েছেন মাটিস্ত বুজুর্গানে দ্বীনন এবং তারা জামালী হতে জালালীর মধ্যে রূপ ধারণ করেছেন। কামালিয়তের বা বুজুর্গীর কোন প্রশংসা তাঁর বুজুর্গীতে বাদ পড়েনা। তিনি এমন এক খোদা -প্রদত্ত শ্রেষ্ঠত্ব সম্পন্ন অলি , যিনি খোদার ইচ্ছা শক্তিতে তাঁর গাউছে আজমিয়তের প্রভাবে জনগণের না হওয়ার মত কাম্য বস্তুকে হওয়ার রূপ দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। তাঁর সাথে হযরত খাজা খিজির (আঃ) এঁর খুবই ঘনিষ্ট আধ্যাত্মিক সম্পর্ক ছিল। সমসাময়িক ওলামায়ে কেরাম ও বুজুর্গগণ তাঁর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাপূর্ণ উচ্চ ধারণা পোষন করতেন যা তাদের লিখিত কসিদা ,শের,কবিতা,মন্তব্য ইত্যাদি থেকে উপলদ্ধি করা যায়। তাঁর আধ্যাত্মিক পরশ প্রাপ্ত অসংখ্যা অলী-দরবেশ বিভিন্ন স্থানে আধ্যাত্মিকতার দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
উত্তরাধিকারী খলিফা নির্ধারণ ও গদী অর্পণঃ গাউছুল আজম হযরত মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) তাঁর নশ্বর জীবনের শেষ দিকে এক জুমাবারে এলাকার সমাজপতি ও জনগণের উপস্থিতিতে তাঁর পবিত্র হুজুরা শরীফ দোয়ার মেহরাবে নিজ পুত্র বংশীয় আদরের নাতি সাজ্জাদানশীনে গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহ্‌ ছুফী সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (কঃ) -কে নিজ গদী শরীফ অর্পণে স্থলাভিষিক্ত আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন।
ওফাত ও ওরশঃ গাউছুল আজম হযরত মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) ৭৯ বছর বয়সে ২৩ জানুয়ারী ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দ ,১০ মাঘ ১৩১৩ বঙ্গাব্দ ,সোমবার দিবাগত রাতে ইহধাম ত্যাগ করেন। তাঁর ওফাত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ৮,৯ ও ১০ মাঘ ৩ দিন ব্যাপী ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলাম ধর্মে আধ্যাত্মিক সাধনার ধারাবাহিকতায় উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে কোরান ও হাদীসের শিক্ষাকে অনুসরণ করে গাউছুল আজম হযরত মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ)-এঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও শিক্ষাকে ধারণ করে মাইজভান্ডারী তরিকা প্রচারের সূচনা হয়। হযরত মওলানা সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (কঃ) বলেন, “ এই ত্রিবিধ বেলায়তী ধারা ,নবুয়তী ধারার সমন্বয়ে অর্থাৎ জাহের বাতেন তা’লীমে এরশাদী সহ শরীয়ত ,তরীকত ,হাকীকত ও মায়ারেফত প্রভাবে ও সংমিশ্রেণে মাইজভান্ডারী তরীকারূপ মহা সাগরের উৎপত্তি।” মাইজভান্ডারী তরিকার বৈশিষ্ট্যঃ এই তরিকা ছিলছিলার দৃষ্টিকোণে কাদেরীয়া তরিকার সাথে সম্পর্কিত। অন্যান্য তরিকার আধ্যাত্মিক বৈশিষ্ট্যগুলো মাইজভান্ডারী তরিকায় সন্নিবেশিত হয়েছে। এই তরিকা কোরান ও হাদিসের শিক্ষাকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করে। একই সাথে এই তরিকা অসাম্প্রদায়িক ,উদার,নৈতিক ধর্ম-প্রাধান্যসম্পন্ন,শ্রেণি-বৈষম্যহীন ও মানবদরদী। মানুষের মনে ঐশী প্রেম জাগ্রত করে সুন্দর ও ন্যায়ের পথে জীবন যাপনে মানব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে মানবতার ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করার শিক্ষা ও দীক্ষা দেয়।

হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) -এঁর উত্তরাধিকারীঃ হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) তাঁর ওফাতের পূর্বে আপন নাতি হযরত মওলানা সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারীকে (কঃ)বালেগ ঘোষণা করে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে তাঁর গদীর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে যান। হযরত কেবলা (কঃ) এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমার ‘দেলাময়না’ বালেগ। দেলাময়নাই আমার গদীতে বসবে।”
মাইজভান্ডার দরবার শরীফে বর্তমান পীরে তরিকত ও সাজ্জাদানশীনঃ খেলাফত প্রদানপূর্বক সাজ্জাদানশীন মনোনয়নের মাধ্যমে গাউছিয়ত জারি রাখার নিয়মের অনুসরণে হযরত মওলানা সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (কঃ) তাঁর জীবিতাবস্থায় তদীয় তৃতীয় পুত্র হযরত মাওলানা শাহ্‌ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক (মঃ) কে নিজ গদীর উত্তরাধিকারী ও মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাব্যস্ত করে যান। তিনি মাওলানা শাহ্‌ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক (মঃ) কে সাজ্জাদানশীনের দায়িত্ব অর্পণের বিষয়টি ‘জরুরী বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ ও তাঁর লিখিত ‘মানব সভ্যতা’ নামক বইয়ের ভূমিকাংশে উল্লেখের মাধ্যমে প্রামাণ্যকরণ করেন। ‘মানব সভ্যতা’ বইয়ের ভূমিকাংশে তিনি উল্লেখ করেন, “অত্র বইটি আমার জীবন সায়াহ্নে ছাপাইয়া যাইতে পারিব কিনা ভবিতব্য খোদাই তাহা ভাল জানেন। তাই বইটি ছাপাইবার জন্য আমাদের প্রচলিত ‘আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারী ’ সমাজ-সংস্কার ও নৈতিক উন্নয়নমূলক সমাজ সংগঠক পদ্ধতির সফলতার উদ্দেশ্যে হানেফী মজহাব এজমা ফতোয়ার ভিত্তিতে আমি যেইভাবে কামেল অলীউল্লাহর নির্দেশিত গদীর সাজ্জাদানশীন সাব্যস্ত তদ্‌মতে আমার ছেলেদের মধ্যে যোগ্যতম সৈয়দ এমদাদুল হক মিঞাকে ‘সাজ্জাদানশীন’ মনোনীত করিবার পর এই গ্রন্থটি তাহার হস্তে অর্পণ করিলাম। ”

মাইজভান্ডারী তরিকার অনুসারীদের প্রতি বর্তমান সাজ্জাদানশীনগণণও আধ্যাত্মিক সাধনায় সফলতা লাভের জন্য শরীয়তের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোরারোপ করেন। ইসলামী সভ্যতার বিকাশে সুফিবাদের অবদান অনস্বীকার্য। যুগ যুগ ধরে সুফি তরিকাসমূহ ইসলামী চরিত্র গড়ার এক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাইজভান্ডারী তরিকা জনসমাজকে ধর্মের মূল সৌন্দর্য অবলোকন করে এর অন্তর্নিহিত শক্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

মাইজভান্ডারী তরিকার উসুলে সাবআ বা সপ্ত পদ্ধতিঃ
______________________________________
নফ্‌ছে ইনসানীর কুপ্রবৃত্তি বন্ধ করে রূহে ইনসানীর সুপ্রবৃত্তি জাগ্রত করার জন্য হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) নির্বিঘ্ন ও সহজসাধ্য মাধ্যম হিসেবে সপ্ত-পদ্ধতির প্রবর্তন করেন। সপ্ত -পদ্ধতি দুই স্তরে অনুশীলিত হয়।
ফানায়ে ছালাছা বা রিপুর ত্রিবিধ বিনাশ স্তরঃ 
১। ফানা আনিল খাল্কঃ পরমুখাপেক্ষী না হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করা। 
২। ফানা আনিল হাওয়াঃ অনর্থক কাজকর্ম ও কথাবার্তা হতে বিরত থাকা। 
৩। ফানা আনিল এরাদাঃ নিজ ইচ্ছা বাসনাকে খোদার ইচ্ছায় বিলীন করে তাছলিম ও রজা অর্জন করা।
মাউতে আরবা বা প্রবৃত্তির চতুর্বিধ মৃত্যুঃ 
১। মউতে আবয়্যাজ বা সাদা মৃত্যুঃ উপবাস ও সংযমের মাধ্যমে অর্জিত এই মৃত্যুতে মানব মনে উজ্জ্বলতা ও আলো দেখা দেয়। 
২। মউতে আছওয়াদ বা কালো মৃত্যুঃ সমালোচনায় বিরক্ত বা রাগান্বিত না হয়ে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজকে সংশোধনের মনমানসিকতা অর্জনই কালো মৃত্যু।
৩। মউতে আহমর বা লাল মৃত্যুঃ কামস্পৃহা ও লোভ-লালসা হতে মুক্তিতে হাসিল হয়।
৪। মউতে আখজার বা সবুজ মৃত্যুঃ নির্বিলাস জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে সবুজ মৃত্যু লাভ হয়।
এই কোরআনী হেদায়তের সপ্তপদ্ধতি ,মানবজীবনের এক নিখুত সহজ, সরল ও স্বাভাবিক পন্থা; যা মানব জীবন পদ্ধতিতে স্বাচ্ছন্দ্য আনয়ন করে।

তথ্যসূত্র:-
 ফার্সী গ্রন্থ: আয়নায়ে বারী, লেখক: আব্দুল গণি কাঞ্চনপুরী, বইয়ে দেয়া তারিখ মোতাবেক লেখা শেষ হয়: ১৪ই জমাদিউস্ সানি, ১৩৩০ হিঃ (১৯০৯/১০ইঃ), ২য় প্রকাশকাল: ৩০শে আগষ্ট, ২০০৭
 বাংলা গীতিকাব্য গ্রন্থ: ওফাত নামা, লেখক: আমিনুল হক হারবাঙ্গিরী, প্রকাশকাল: ১৯০৭, বর্তমানে মূল কপি কেবল মাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত রয়েছে।
 আরবী ও ফার্সী ভাষায় সমন্বিত গ্রন্থ: তোহফাতুল আখইয়ার ফী দাফ-ই-শারারাতিল আশরার, ১ম প্রকাশকাল: ১৩১৩ বঙ্গাব্দ, ১৯০৭ খৃষ্টাব্দ, লেখক: আমিনুল হক ফরহাদাবাদী, বঙ্গানুবাদ: সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম ফরহাদাবাদী।
 "গবেষণা গ্রন্থ: এ ছুফি মুভমেন্ট ইন বাংলাদেশ: মাইজভান্ডারী তরীকা এন্ড ইটস্ ফলোয়ার্স (A Sufi Movement in Bangladesh: Maizbhanderi tariqa and its followers), লেখক: পিটার জে. র্ব্যাটচ্চি (Peter J. Bertocci), ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটি, মিশিগান, ইউএসএ"।
 নিয়মিত প্রকাশনা: নকশার সন্ধানে, চতুর্থ সংখ্যা, প্রকাশকাল: ৫ জুন ২০০১ খৃঃ, শিরোনাম: গাউছুল আজম শব্দের তাৎপর্য ও ব্যবহার, লেখক: সৈয়দ আহমদুল হক, সভাপতি, আল্লামা রুমি সোসাইটি
 মাইজভান্ডারী তরীকার দর্শন বিশ্লেষণাত্বক তাত্ত্বিক বাংলা গ্রন্থ: বেলায়তে মোতলাকা, লেখক: সৈয়দ দেলোয়ার হোসাইন মাইজভান্ডারী, ৩য় সংস্করণ: ১৯৭৪।
 "ইংরেজী গবেষণা গ্রন্থ: Sufism and Saint Veneration in Contemporary Bangladesh: The Maijbhandaris of Chittagong (Routledge Advances in South Asian Studies), লেখক: হেনস্ হার্ডার, হাইডেল বার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানী (Hans Harder, Head of Department of Modern South Asian Languages and Literatures, Heidelberg University)"।
 মাইজভান্ডারী তরীকার ইতিহাস নির্ভর তাত্ত্বিক বাংলা গ্রন্থ: এলাকার রেনেসাঁর যুগের একটি দিক, লেখক: সৈয়দ দেলোয়ার হোসাইন মাইজভান্ডারী, প্রকাশকাল: ১৯৭৪।
 মাইজভান্ডারী তরীকার ইতিহাস নির্ভর বাংলা জীবনী গ্রন্থ: গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর জীবনী ও কেরামত, লেখক: সৈয়দ দেলোয়ার হোসাইন মাইজভান্ডারী, ১ম প্রকাশ: ১৯৬৭।
 রাহে ভান্ডার তরীকার মুখপত্র নিয়মিত ম্যাগাজিন: নকশার সন্ধানে, তালিকা প্রকাশ: ৮ম সংখ্যা।
 স্মারক গ্রন্থঃ গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর ওফাত শতবার্ষিকী ১৯০৬-২০০৬, প্রকাশকাল:২০০৬।

Welcome to Sufism

URS MUBARAK -SUFISM - BANGLADESH

Holy Urs Mubarak #Urs #UrsMubarak #UrsSharif #Sufi #SufiLive #SufiWorld #SufiFestival #SufiCentre #SufiOrder #SufiMedia #World #Global #Glo...